সর্বশেষ সংবাদ
Own Post
প্রকাশিত: 08:14:00 pm, 2020-10-06 | দেখা হয়েছে: 1 বার।
জামালপুর প্রতিনিধি : দ্বিতীয় স্ত্রী ধর্ষকদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী সুজন মিয়া, সহযোগিতার অভিযোগে রাজিয়া বেগম নামের এই নারী এবং ধর্ষক নূরনবীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
দ্বিতীয় স্ত্রী তালাক দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে ডেকে প্রথম স্ত্রীর ভাই ও ভায়রাকে দিয়ে ধর্ষণ করিয়েছেন সুজন মিয়া (৩৫) নামে এক দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারীর মামলায় ধর্ষক নুরনবী (৪০) ও সহযোগিতার অভিযোগে স্বামী সুজন মিয়া ও রাজিয়া বেগম (৩৫)-কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
রবিবার (৪ অক্টোবর) রাতে জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ও মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুর র্যাব-১৪, সিপিসি-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, জামালপুর সদর উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মো. সুজন মিয়া (৩৫) প্রথম স্ত্রীকে (৩২) দেড় বছর আগে তালাক দিয়ে মেলান্দহ উপজেলার আরেক নারীকে (২৫) বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর পর সুজন মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয় এবং পুনরায় প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করে। তালাকের পর দ্বিতীয় স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। চলতি বছরের মে মাসে সুজন মিয়া পুনরায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল। তবে এবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ের পর তার মধ্যে দুরভিসন্ধি সৃষ্টি হয়। আবারও প্রথম স্ত্রীর কাছে যেতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তাকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দেয় সে। এতে রাজি না হওয়ায় গত ২২ সেপ্টেম্বর সুজন মিয়া তার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামে প্রথম স্ত্রীর বড় বোন রাজিয়া বেগমের স্বামী নুরনবীর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার প্রথম স্ত্রীও ছিল। এরপর সে দ্বিতীয় স্ত্রীকে জোর করে আবারও তালাক দিতে চাপ দেয়। স্ত্রী সামনে দেওয়া তালাকের কাগজে স্বাক্ষর না করায় তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগম ও তার বড় বোন রাজিয়া বেগমের সহায়তায় প্রথম স্ত্রীর ভাই মিজানুর রহমান ও রাজিয়া বেগমের স্বামী নুরনবীকে দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ধর্ষণ করায় প্রতারক স্বামী সুজন। এরপর এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার ওই নারী। পরে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালায় র্যাব-১৪। অভিযানে ধর্ষক নূরনবী, ধর্ষণে সহায়তাকারী স্বামী সুজন মিয়া ও রাজিয়া বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। অপর ধর্ষক মিজানুর রহমান পলাতক রয়েছে।