Image Not Found!
ঢাকা   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ

  ফ্যাসিস্ট জালিম সরকারের দোসররা এদেশে রয়ে গেছে- মামুনুর রশীদ (108)        নবগঠিত নেতৃত্বে বিএনপির উজ্জীবিত অগ্রযাত্রা (108)        ফুলবাড়ীয়ায় সাপ্তাহিক ফুলখড়ির ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন (108)        ফুলবাড়ীয়ায় যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত (108)        গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজন অব্যাহতি (2)         জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝেছি,বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলনের প্রয়োজন নেই (2)        ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায় নিয়ে জামায়াতের রিভিউ আবেদন, ২৪ অক্টোবর শুনানি (5)        ময়মনসিংহে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যু (2)        স্বর্ণের দাম বাড়ছে, এক বছরে বেড়েছে ৩৫% (2)        ফুলবাড়ীয়ায় ক্রমবর্ধমান যানজট: দ্রুত সমাধানের আশ্বাস" (2)      
৮ জাহাজে ১৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছেছে

কটিয়াদীতে নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরে পৌঁছেছে রোহিঙ্গাদের প্রথম দল। এই দলে রয়েছে মোট ১৬৪২ জন। নৌবাহিনীর মোট আটটি জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মালামালসহ তাদের।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে সাতটি জাহাজ রওনা দেয়। এসপ্তাহে আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে পতেঙ্গা হয়ে ভাসানচরে পাঠানোর হবে এবং ১ সপ্তাহের মধ্যে এ স্থানান্তর কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী।
নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমকেজেড শামীম জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার পর চট্টগ্রাম বোট ক্লাব জেটি থেকে তিনটি, আরআরবি জেটি থেকে দুটি ও কোস্টগার্ড জেটি থেকে সেনাবাহিনীর একটি জাহাজ করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর দুইটার পর জাহাজগুলো ভাষানচরে নোঙর ফেলেছে। এছাড়া দুটি জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের মালামাল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ৩৯টি বাস কক্সবাজারের উখিয়া কলেজের মাঠ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করে। ১ হাজার ৬৩৫ জন রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষ রাতে চট্টগ্রামে পৌঁছায়। পতেঙ্গা বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠ ও বোট ক্লাব এবং এর আশপাশের এলাকায় অস্থায়ী ট্রানজিট শিবিরে তাদের রাখা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গা নেওয়া হবে সেখানে। রোহিঙ্গাদের এই দলটি থাকবে ভাসানচরের অত্যাধুনিক আবাসন প্রকল্পে। এরই মধ্যে ভাসানচরে মজুদ করা হয়েছে তিন মাসের খাদ্যপণ্য। প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করবে বেসরকারি সংস্থাগুলো। এজন্য ২২টি এনজিওর প্রতিনিধিরা কাজ শুরু করেছে ভাসানচরে।
সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপারসন জেসমিন প্রেমা জানান, শুধু আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার কাজ করছে সরকার এবং ২২টি উন্নয়ন সংস্থা। এসব রোহিঙ্গাকে জাহাজে ওঠার পূর্বে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি সাপেক্ষে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণের টোকেন ও চাবি হস্তান্তর করা হয়। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক বাসস্থান ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে।
সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে। আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে। প্রকল্পটিতে যেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৬০ শরণার্থী বসবাস করতে পারেন সে লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪০টি।
তিনি বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এরআগে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে দেখার জন্য ভাসান চরে পাঠানো হয়। তারা ফেরার পর তাদের কথা শুনে রোহিঙ্গাদের একাংশ ভাসান চরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে বলে জানান তিনি।