সর্বশেষ সংবাদ
Own Post
প্রকাশিত: 07:13:55 pm, 2020-12-09 | দেখা হয়েছে: 5 বার।
শীতের শুরুতে খুলনায় বাড়ছে করোনার প্রভাব। প্রতিদিনই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু-কর্ণার ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে বাড়ছে করেনা রোগির সংখ্যা। রোবাবার (৬ ডিসেম্বর) খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৫ জন, শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জন, বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১ জন, বুধবারর (২ ডিসেম্বর) ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু-কর্ণার ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে খোজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিনে রোগির সংখ্যা বাড়ছে। গত সপ্তায় ওয়ার্ডে রোগির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ওয়ার্ডে রোগির সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগি ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ভালো। চিকিৎসকদের সাথে আলাপ করে যানা যায়, শীতের শুরুতেই ফ্লু-কর্ণারে রোগির সংখ্যা বাড়ছে। খুলনার দীঘলিয়া থেকে আসা রোগির স্বজন বাবুর সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা তার বাবার শ্বাসকষ্ট রয়েছে তবে হাসপাতালে আসার পর অক্সিজেন দেওয়ার পর কিছুটা ভালো। সাতক্ষীরা কলারোয়া থেকে আসা ফাহিম জানান, তার নানীর করোনা পজেটিভ হওয়ায় ফ্লু-কর্ণারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে তার অবস্থা আগের থেকে ভালো।
ফ্লু-কর্ণারের দায়িত্বে থাকা মোঃ জুম্মান বলেন, আমাদের এখানে সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুদ আছে।
ফ্লু-কর্ণারের দায়িত্বে থাকা খুলনা মেডিকেল কলেজের আরএমও ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, শীতের শুরুতে আগের তুলনায় করোনার রোগি কিছুটা বেড়েছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে যে সকল রোগি ফ্লু-কর্ণারে আসছে তাদের সংখ্যা বাড়লেও করোনা পজেটিভের সংখ্যা খুব বেশী বাড়েনি। তিনি বলেন, আমাদের অক্সিজেন সঙ্কট আছে। লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট খুলনা মেডিকেলে এখনও স্থাপিত হয়নি এটি জানুয়ারি ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা স্থাপন করতে পারবো। তিনি আরো বলেন, আমাদের ভেন্টিলেটর চালানোর জন্য দরকার কমপ্রেসড এয়ার মেশিন সেটিও আমাদের নাই। বর্তমানে ভেন্টিলেটর চালানো হচ্ছে সিলিন্ডার অক্সিজেনের মাধ্যমে। কমপ্রেসড এয়ার মেশিন স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যেই মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিক্যুইড অক্সিজেন প্লান্ট এবং কমপ্রেসড এয়ার মেশিন না থাকায় করোনা রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা থাকলেও তা সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার পরও রোগীরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, করোনা রোগীদের নিরবচ্ছিন ও উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য সরকার সারাদেশে জরুরি ভিত্তিতে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু খুলনায় এখনও স্থাপিত হয়নি লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট। যে কারনে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় সংক্রমন বাড়লে দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠির করোনার চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।