সর্বশেষ সংবাদ
Own Post
প্রকাশিত: 03:20:17 pm, 2021-04-12 | দেখা হয়েছে: 20 বার।
ফজলে এলাহি ঢালীঃ
সোমবার ১২/৪/২০২১ ইং করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড -১৯ রোধ কল্পে উপসচিব মোঃরেজাউল ইসলাম সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নিম্নোক্ত বিধি নিষেধ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ।
১.সকল সরকারি আধাসরকারি,স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠন বন্ধ থাকবে ও সকল কর্মকর্তা –কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবে।তবে বিমান,সমুদ্র,নৌ ও স্থল বন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিস সমূহ আওতা বহির্ভূত থাকবে।
২.বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আদালতসমূহের জন্য প্রয়োণীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩.সকলপ্রকার পরিবহন(সড়ক,নৌ,রেল,আভ্যন্তরীন এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট )বন্ধ থাকবে।কবে পন্য পরিবহন উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরী সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবেনা।
৪.শিল্প কারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরনপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।তবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় আনা নেওয়া করতে হবে।
৫.আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরী পরিসেবা যেমন কৃষি উপকরণ (সার,বীজ,কীটনাশক,কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি),খাদ্যশস্য ওখাদ্যদ্রব্য পরিবহন,ত্রাণ বিতরণ,স্বাস্থ্য সেবা,কোভিড-১৯ টিকা প্রদান,বিদ্যুৎ পানি,গ্যাস /জ্বালানী,ফায়ার সার্ভিস,বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর,নদীবন্দর,ওসমুদ্রবন্দর)কার্যক্রম টেলিফোন ও ইন্টারনেট(সরকারি-বেসরকারি),গণমাধ্যম(প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া,বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা,ডাক সেবা সহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় ন্য ও সেবার সঙ্গে যুক্ত অফিস সমূহ তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
৬.অতি জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ওনিত্র প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় ,চিকিৎসা সেবা ,মৃতদেহ,দাফন/সৎকার ইত্যাদি)কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবেনা।তবে টিকা কার্ড প্রদর্শণ সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।
৭.খাবার দোকান ও হোটেল রেস্তোরায় দুপুর ১২.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ পর্যন্ত এবং ১২.০০ থেকে ভোর ৬.০০ পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয় সরবরাহ করা যাবে।শপিংমল সহ অন্যান্য দোকানসমূহ বন্ধ থাকবে।
৮.কাঁচাবাজা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯.০০ থেকে বিকাল ৩.০০ পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মনে ক্রয় বিক্রয় করা যাবে।বাজার কতৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৯.বোরধান কাটার জরুরী প্রয়োজনে কৃষি শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সমন্বয় করবে।
১০.সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।
১১.স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাঁর পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রযয়াজনীয় ক্ষমতা প্রদাণ করবেন।
১২.স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুম্মা ও তারাবী নামাজের জমায়েত বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয় নির্দেশনা জারি করবে।এবং
১৩.উপর্যুক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়/বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারবে।