সর্বশেষ সংবাদ
Own Post
প্রকাশিত: 10:40:34 am, 2021-04-17 | দেখা হয়েছে: 28 বার।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
রয়েছে অসম্পূর্ণ অনেক কাজ, অনেক স্বপ্ন রেখেই চলে গেছেন সারাহ বেগম কবরী । বাংলার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী তিনি। ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী ।ছিলেন নায়িকা, ক্যামেরার সামনে থেকে চলে গিয়েছিলেন পেছনে, পরিচালকের আসনে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। কবরীর ছেলে শাকের চিশতী খবরটি নিশ্চিত করেন।
এক নজরে কবরীঃ
মীনা পাল- জন্ম ১৯ জুলাই ১৯৫০ সালে। একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র পরিচালক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি বিংশ শতাব্দীর ষাট ও সত্তরের দশকের বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের নায়িকা ছিলেন।চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলাতে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেত্রী কবরী সারোয়ার। জন্মস্থান বোয়ালখালী হলেও শৈশব ও কৈশোর বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম নগরীতে। তার আসল নাম মিনা পাল। পিতা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল এবং মা শ্রীমতি লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব কবরীর।
অভিনয় জীবনঃ
চলচ্চিত্রে ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের সুতরাং ছবির নায়িকা হিসেবে অভিনয় জীবনের শুরু করেন কবরী। এরপর অভিনয় করেছেন হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, পারুলের সংসার, বিনিময়, আগন্তুক –সহ জহির রায়হানের তৈরি উর্দু ছবি ‘বাহানা’ এবং ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘তিতাস একটি নদীর নাম' উল্লেখযোগ্য ৷
রাজনৈতিক জীবনঃ
তিনি ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ হিসেবে নারায়ণগজ্ঞ -৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাক্তি জীবনঃ
কবরী প্রথমে চিত্ত চৌধুরীকে বিয়ে করেন। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি সফিউদ্দীন সরোয়ারকে বিয়ে করেন। ২০০৮ সালে তাঁদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী পাঁচ সন্তানের মা ছিলেন। ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’ প্রকাশিত হয়।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঃ
কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১৩ দিনের মাথায়, ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল রাত ১২টা ২০ মিনিটে ঢাকার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
পুরস্কারঃ
১৯৭৩ সালে বাচসাস পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (লালন ফোকির) বিজয়ী ,১৯৭৫ সালে বাচসাস পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সুজন সখী) বিজয়ী,১৯৭৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সারেং বৌ) বিজয়ী,বাচসাস পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সারেং বৌ) বিজয়ী, ১৯৮৮ সালে বাচসাস পুরস্কার শ্রেষ্ঠঅভিনেত্রী (দুই জীবন) বিজয়ী,২০০৮ সালে বাচসাস পুরস্কার সম্মাননা পুরস্কার বিজয়ী ,২০০৯ সালে বাচসাস পুরস্কার আজীবন সম্মাননা বিজয়ী ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আজীবন সম্মাননা বিজয়ী।