সর্বশেষ সংবাদ
Own Post
প্রকাশিত: 11:57:29 am, 2021-08-01 | দেখা হয়েছে: 6 বার।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনাভাইস সংক্রমণে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ চললেও গণপরিবহন চলাচলের ঘোষণায় সড়কে) মহাসড়কগুলোতে আন্তঃজেলা ও লোকাল বাস, ট্রাক, সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য দেখা গেছে রাস্তায়। একই সঙ্গে রিকশার চাপও রয়েছে।
রোববার (১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত গণপরিবহন চলার বাধ্যবাধকতা থাকায় এর আগেই গন্তব্য ফিরতে চেষ্টা করছেন যাত্রীরা।
এছাড়া শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটের লঞ্চে যাত্রীর উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
রোববার (০১ আগস্ট) সকাল থেকে এই দুই নৌরুটে চলাচল করছে ৮৬টি লঞ্চ। শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি লঞ্চে দেখা যাচ্ছে যাত্রীর ভিড়। ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। এতে লঞ্চে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও দেখা দিয়েছে।
এদিকে মহাসড়কগুলোতে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় সরেজমিনে রোববার (১ আগস্ট) সকাল থেকে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব, এলেঙ্গা, পুংলি, রাবনা বাইপাস এলাকায় থেমে থেমে পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে জ্যামের খবর পাওয়া গেছে। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাড়ির তেমন চাপ না থাকলেও আশুলিয়া বাইপাল-আবদুল্লাহপুর সড়কে চাপ দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে গাড়ির তেমন চাপ নেই। তবে কঠোর লকডাউনে গেল ৯ দিনের চেয়ে গাড়ি অনেক বেড়েছে।
এদিকে পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেওয়ায় রোববার (১ আগস্ট) সকাল ৮টার মধ্যে নিজ নিজ কারখানায় যোগ দিয়েছেন অধিকাংশ শ্রমিক।
তবে বড় বড় কারখানায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও কোথাও কোথাও তা ঢিলেঢালা দেখা গেছে। সব তৈরি পোশাক কারখানায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও অধিকাংশ কারখানায় তাপমাত্রা মাপা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
সকালে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় এ কে এম রহমতুল্লাহ গার্মেন্টস, আর টেক্স ফ্যাশন, জান কম্পোজিট ইউনিট লিমিটেড (ইউনিট-২), ড্রেস ফাই নেটওয়ার্ক, ইনজেক্ট ফ্যাশনসহ বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, ৮টার আগেই দলে দলে কাজে যোগ দিচ্ছেন শ্রমিকরা।
এদের বেশির ভাগই নারী শ্রমিক। আবার কেউ কেউ নতুন কাজের জন্য ভিড় করছেন। তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, হঠাৎ গার্মেন্টস খোলার কথা শুনে অনেক কষ্ট করে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন। আবার কেউ কেউ ঢাকাতেই ছিলেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধে গ্রামে থাকা শ্রমিকদের কাজে না ফিরতে অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
শ্রমিকদের অভয় দিয়ে সংগঠনটি বলছে, বিধিনিষেধ পুরোপুরি শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ না দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি তাদের ফোন করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কাজে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। এজন্য শনিবার বিধিনিষেধের নবম দিনে দেখা গেছে রাজধানীর প্রবেশমুখে মানুষের স্রোত। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়ায় তাদের ফিরতে হয়েছে। সাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, হিউম্যান হলার, ট্রাক ও মোটরসাইকেলে করে তারা বাড়ি থেকে আসেন। কিন্তু ঢাকার প্রবেশমুখে পুলিশের বাধায় অনেকে পায়ে হেঁটে ঢাকায় ঢোকেন। ফেরিগুলোতেও ছিল জনস্রোত।
এমন পরিস্থিতি দেখে শনিবার রাতে সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, ‘রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’