Image Not Found!
ঢাকা   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ

  ফ্যাসিস্ট জালিম সরকারের দোসররা এদেশে রয়ে গেছে- মামুনুর রশীদ (108)        নবগঠিত নেতৃত্বে বিএনপির উজ্জীবিত অগ্রযাত্রা (108)        ফুলবাড়ীয়ায় সাপ্তাহিক ফুলখড়ির ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন (108)        ফুলবাড়ীয়ায় যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত (108)        গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজন অব্যাহতি (2)         জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝেছি,বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলনের প্রয়োজন নেই (2)        ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায় নিয়ে জামায়াতের রিভিউ আবেদন, ২৪ অক্টোবর শুনানি (5)        ময়মনসিংহে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যু (2)        স্বর্ণের দাম বাড়ছে, এক বছরে বেড়েছে ৩৫% (2)        ফুলবাড়ীয়ায় ক্রমবর্ধমান যানজট: দ্রুত সমাধানের আশ্বাস" (2)      
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও দাবি করেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের যে সমাধি আছে সেখানে তার মরদেহ নেই।

কফিনে মরদেহ ছিলনা জিয়াউর রহমানের-ওবায়দুল কাদের

ফজলে এলাহি ঢালীঃ

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও দাবি করেছেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের যে সমাধি আছে সেখানে তার মরদেহ নেই।

তিনি বলেন, হাজার লোক জানাজা পড়া আর কফিনে লাশ থাকা এক কথা নয়। ওই কফিনে জিয়াউর রহমানের মরদেহ ছিল না। বিএনপি সত্যকে গোপন করতে চায়। কিন্তু সত্য থেকে পালিয়ে যেতে পারবে না।

শনিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শীর্ষক’ আলোচনায় অনলাইনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি আরও বলেন, লাশ নিয়ে বিতর্ক করতে চাই না। কিন্তু এটাই সত্য। পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর ইসলামাবাদে জানাজায় এর চেয়ে বেশি লোক হয়েছিল, যত লোক জিয়ার জানাজায় হয়েছে। কিন্তু ওই কফিনেও জিয়াউল হক নেই, এই কফিনেও জিয়াউর রহমান নেই। এটাই হলো সত্য।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সত্য লুকোতে চাইছেন, কিন্তু সত্য থেকে পালিয়ে যেতে পারবেন না। সত্য বেরিয়ে আসবে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে বিদেশি ষড়যন্ত্রও ছিল। হত্যার কুশীলবদের সঙ্গে দুই-একটা বিদেশি দূতাবাসের যোগাযোগ ছিল।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কে আশ্রয়? কে প্রশ্রয়? কে নিরাপদে বিদেশে পালিয়ে কে পুনর্বাসনে? কে? কে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছে? কে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছে? সাতই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করল কে? মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিষিদ্ধ, সংবিধানকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করলো কে? এইসব অপকর্মের মূল হোতা কে? ইতিহাসের এই সত্যকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারেন, কিন্তু ইতিহাস কাউকে ছাড়বে না। হত্যা হত্যাকেই ডেকে আনে।

সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নানা নতুন তথ্য উঠে আসছে যা এতদিন গোপন ছিল। ফলে সময় হয়েছে একটি নতুন কমিশন গঠন করে তা জাতির সামনে তুলে ধরা। জাতির পিতার মতোই বঙ্গবন্ধু কন্যাও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।

দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ।