সর্বশেষ সংবাদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: 04:41:24 pm, 2024-10-10 | দেখা হয়েছে: 108 বার।
ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলা ৩ নং কুশমাইল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ বিলাল হোসেন (৩৬) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন নির্ভীক অংশগ্রহণকারী। গত ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ছোড়া গুলিতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তার শরীরে এখনো ২৫০ থেকে ৩০০ স্প্লিন্টার রয়ে গেছে, যা তাকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিচ্ছে এবং জীবনযাত্রায় সীমাবদ্ধতা তৈরি করছে। তবে তিনি তার এই ব্যথাকে কেবল একটি কষ্টের স্মৃতি হিসেবে না দেখে, বরং একটি অর্জিত বিজয়ের প্রতীক হিসেবে ধারণ করছেন।
বিলাল হোসেনের পিতা মোঃ মনোয়ার হোসেন সহ পরিবার সদস্যরা প্রতিনিয়ত তার চিকিৎসার জন্য চিন্তিত। প্রতিনিয়ত তাকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে শরীরে বিদ্ধ থাকা স্প্লিন্টার বের করতে। কিন্তু শত কষ্টের মধ্যেও বিলাল থেমে নেই। তিনি বলেন, "আমার শরীরে এই স্প্লিন্টারগুলো কষ্টের হলেও, এগুলো আমার আন্দোলন ও আদর্শের স্মারক। আমি আশা করি, আমার এই কষ্টের ফসল হবে সুন্দর ও বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশ।"
বিলাল হোসেন শুধু তার শারীরিক ব্যথা নিয়েই বেঁচে নেই, বরং তার একমাত্র ইচ্ছা হলো—তার এই কষ্টের ফলে আগামীর বাংলাদেশ যেন আরও সুন্দর, সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন হয়। তিনি বিশ্বাস করেন, তার ও অন্যান্য আন্দোলনকারীদের ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে একদিন বাংলাদেশে একটি ন্যায়বিচার ও সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, "আমরা আন্দোলনে নেমেছি দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, যাতে তারা একটি বৈষম্যহীন ও সুবিচারপূর্ণ সমাজ পায়। আমার শরীরের স্প্লিন্টারগুলো প্রতিদিন আমাকে কষ্ট দেয়, কিন্তু আমি জানি এই কষ্ট আমাদের বিজয়ের প্রতীক। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি এবং আমার সংগ্রাম একদিন সুন্দর কিছু নিয়ে আসবে।"
বিলাল হোসেনের মতো সংগ্রামী ব্যক্তিরা তাদের জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য। তার বার্তা হলো, "আমরা যারা লড়ছি, তারা কষ্টের মধ্যে দিয়ে গেলেও আমাদের সংগ্রামের উদ্দেশ্য হলো আগামীর প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করা। আমাদের এই ত্যাগ যেন বৃথা না যায়।"
মোহাম্মদ বিলাল হোসেনের এই অসাধারণ ত্যাগ এবং তার শারীরিক কষ্ট দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন, সত্য ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম করা কখনোই বৃথা যায় না। তার এই যন্ত্রণা যেন আগামীর বাংলাদেশে সুন্দর একটি পরিবর্তন নিয়ে আসে, এই প্রত্যাশায় বুক বাঁধছেন তিনি ও তার পরিবার।