সর্বশেষ সংবাদ
Own Post
প্রকাশিত: 10:11:32 pm, 2021-04-02 | দেখা হয়েছে: 24 বার।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মালিকরা জানেননা কেমনে মালিক হলেন।ব্যাংক কি দেখে দিল ঋণ।বিক্রয় হয়ে গেল মহাসড়কের অংশ।ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কিছু অংশ বিক্রি করেছেন এক ব্যক্তি। আর মহাসড়কের সেই অংশটি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণও নিয়েছে সেই জমির ক্রেতা। সম্প্রতি ঋণের টাকা বুঝে না পেয়ে মহাসড়কের ওই অংশ নিলামে তুলেছে সেই বেসরকারি ব্যাংক।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মালিক কিভাবে হলেন এমন প্রশ্নে আবুল হোসেন বলেন, “তারা লেখলে আমি কি করব? আমি কি লেখছি অইডা? জরিপের কর্মকর্তারা কেমনে লেখছে হেরাই জানে।”
জানা গেছে, ২০০৬ সালে ৫৮২৫ নং খতিয়ানে মহাসড়কের ২৪ শতাংশ জমি আবুল হোসেনের নামে দেয় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর। যিনি দিয়েছিলেন সেই সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা হাজী ইউনুস আলী এখন অবসরে রয়েছেন। এ ঘটনা জানার পর তাৎক্ষনিক তদন্তে নামার সিদ্ধান্ত নেয় জরিপ অধিদফতর।
এ বিষয়ে সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মোমিনুর রশীদ জানান, আমরা এটা ইনকোয়ারিতে দিয়েছি। সেখানকার রিপোর্ট পাওয়ার পর যিনি রেকর্ড দিয়েছেন তার দোষ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা করার নির্দেশনা আছে।
তবে এরইমধ্যে জমিটি হাতবদল হয়ে যায় দুইবার। গোলাম ফারুক নামের এক ব্যক্তি মহাসড়কের ওই অংশটি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নেন ১৫ কোটি টাকা।
কীভাবে কিনলেন এই মহাসড়ক সে প্রশ্নের জবাবে গোলাম ফারুক বলেন, “বিশ্বাস করেন আমি দলিল কি, খাজনা কি এগুলাই বুঝতাম না। আমার আইনজীবি বলেছে কাগজপত্র স্বচ্ছ। এখন এটা এভাবে লুকানো হলে বুঝার কোনো উপায় আছে?”
তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাই রাজি নন।মহাসড়ক বিক্রয়,অতঃপর ১৫ কোটি টাকা লোন যেন তুঘলকি ব্যাপার বলছেন সাধারণ মানুষ।তাদের দাবি তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এদিকে মহাসড়কের জায়গা বুঝে না পেয়ে অন্য জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে ব্যাংক। (সূত্র- যমুনা টেলিভিশন)