সর্বশেষ সংবাদ
Own Post
প্রকাশিত: 09:26:12 pm, 2021-04-06 | দেখা হয়েছে: 15 বার।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকার তাণ্ডবের ঘটনায় গত রাতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ১৭ নেতার নামে মামলা হয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় আরিফ উজ জামান নামের ওয়ারীর এক ব্যক্তি হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনসহ কয়েকটি ধারায় পল্টন থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে এক নম্বর ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা জানতে চাইলে জবাবে ডিসি বলেন, আমরা তদন্ত করবো। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিসি বলেন, এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের অনেকের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তবে আমরা কোনো পদ বিবেচনায় নেবো না। আমরা অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। মামলাটি গতকাল রাতে হয়েছে। এখনো প্রি-ম্যাচুরড রয়েছে। আমরা আসামিদের প্রকৃত পরিচয়, তারা বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে, ২৬ তারিখ তারা কোথায় ছিলো, বায়তুল মোকাররমে সরাসরি উপস্থিত ছিলো কিনা, তারা নাশকতার নির্দেশ-উসকানি দিয়েছে কিনা, হামলার অর্থদাতা বা মাস্টারমাইন্ড কিনা এসব বিষয় শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সরকারদলের একজন এই মামলাটি করেছেন। এ বিষয়ে পুলিশের অবস্থান জানতে চাইলে ডিসি বলেন, যিনি মামলা করেছেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিনি টাইলসের আঘাতে আহত হয়েছেন। তার অন্য কোনো পরিচয় আছে কিনা তা আমরা খুঁজে বের করবো।
মামলায় হেফাজতের নেতাদের নাম উল্লেখ করা হলেও তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন কিনা? জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, নামাজের পর মসজিদের বেদীর ওপরে অনেকে কথা বলছিলো, সেখান থেকেই সংঘর্ষের শুরু। তবে সেখানে কোনো সিনিয়র নেতাকে দেখিনি। অনেকে ভেতরে ছিলো, সিনিয়র নেতারা ভেতরে ছিলো কিনা তা তদন্তে উঠে আসবে।