সর্বশেষ সংবাদ
Own Post
প্রকাশিত: 09:56:15 pm, 2021-06-20 | দেখা হয়েছে: 9 বার।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি মনে করি, অতীতের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশপাশি যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকবে। পরিবর্তিত বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতা, উৎকর্ষ সাধনের দিকে নিবিড়ভাবে মনোনিবেশ করার জন্য আমি সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি
রোববার (২০ জুন) সেনাবাহিনীতে টাইগার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট/মিসাইল সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে সাভার সেনানিবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ইউনিটকে অন্তর্ভুক্তি সনদ প্রদান করেন।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিত্রকর্ম উপহার দেন নতুন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশে সামাজিক সুরক্ষা এবং অবকাঠামো উন্নয়নে যেমন অবদান রেখে যাচ্ছেন, তেমনি বিশ্ব শান্তি রক্ষায়ও ভূমিকা রেখে চলেছেন সুনামের সঙ্গে।
টাইগার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট/মিসাইল সিস্টেমের অন্তর্ভুক্তির এই দিনটি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপপোযোগী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি ‘স্মরণীয় দিন’ হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫১ এমএলআরএস রেজিমেন্টে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক টাইগার মাল্টিপল লঞ্চ/রকেট মিসাইল সিস্টেম, যা টাইগার এমএলআরএস নামে পরিচিত। এই সিস্টেম স্বল্প সময়ে অন্যান্য আর্টিলারি সিস্টেমের তুলনায় অধিক দূরবর্তী একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে একই সময়ে নিখুঁত ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে, যা সেনাবাহিনীর বিদ্যমান অভিযান সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আধুনিক এই এমএলআরএস আমাদের সেনাবাহিনীকে অনেক শক্তিশালী করবে, মনোবল বৃদ্ধি করবে, সেনা সদস্যদের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পাবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনীকে ‘জাতির অহংকার’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, মাতৃভূমির সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখার পাশপাশি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে ‘সর্ব্বোচ্চ ত্যাগ’ স্বীকার করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার আদর্শ ভূলণ্ঠিত হয়। জাতির পিতাকে হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার পাশপাশি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি দেয়।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে যেসব উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছে, সেসব কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
ঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, দীর্ঘদিন সরকারে থাকার ফলে একটা সুযোগ পেয়েছি, অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে যেমন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, সেই সাথে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, সেনা বিমান ও হেলিকপ্টারসহ আধুনিক ইনফ্যান্ট্রি গ্যাজেট, ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জামাদি সংযোজন করে সেনাবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সর্ব্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। যেখানে অন্য দেশ যেতে চায় না, বাংলাদেশ সেই সমস্ত দুর্গম… মানে… শান্তিরক্ষায় তারা বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে। তাই সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা যেখানে স্থবির, সেখানে সরকার দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবেই আমরা যথেষ্ট অগ্রগামী। বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। আমরা চাই যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে, ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত হবে। প্রতিটি পরিবার সুন্দরভাবে বাঁচবে।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন পদবির সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।