সর্বশেষ সংবাদ
Own Post
প্রকাশিত: 12:48:36 am, 2021-07-05 | দেখা হয়েছে: 27 বার।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে ৩০ জুন ২০২১ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটি অফিসে যোগদান করেন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এর এক প্রজ্ঞাপনমূলে যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর মেয়াদে এ নিয়োগ দেয়া হয়।
ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে ১৯৮৭ সালে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০২ সালে একই বিভাগে অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন। তিনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ভূতত্ত্ববিদ ও একজন খ্যাতনামা ভূবিজ্ঞানী হিসেবে দেশে-বিদেশে সুপরিচিত।
ড. হুমায়ুন Earth Quake Geology ,Geodetic GPS, Structural Geology, Technotics, Thermoluminescence age dating, Field geology , Photogeology and remote sensing as well as in engineering geology and natural Hazards বিশেষজ্ঞ।
তিনি নিউইয়র্ক এর কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সাথে দীর্ঘদিন ল্যামন্ট ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরিতে গবেষণায় সংযুক্ত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ইংল্যান্ড ,সিঙ্গাপুর ,জার্মানি ও ভারতে ভূতত্ত্ব গবেষণার সাথেও সংযুক্ত ছিলেন। ড. হুমায়ুন আখতার ভিজিটিং সাইন্টিস্ট হিসেবে ল্যামন্টডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরিতে ২০০৩ সাল থেকে সংযুক্ত আছেন। তিনি Bangla PIRE (NSA PIRE Project) গবেষণা টিম হিমালয়ান ও বার্মিজ ডিফর্মেশন ফ্রন্টে গবেষক ছিলেন।
ড. হুমায়ুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অবজারভেটরি ও ৬ টি স্থায়ী সিসমিক স্টেশনের প্রতিষ্ঠাতা । এছাড়াও তিনি ২৭ টি পোর্টেবল সিসমোগ্রাফ এবং ৩০ টি জিওডেটিক-জিপিএস স্টেশন সিস্টেমের প্রতিষ্ঠাতা। ড. হুমায়ুন দেশে সিডিমেন্ট সেমপল রিপেজিটরি এবং ডাটা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আর্থ কোয়েক জিওলজি, আর্থ কোয়েক নেটওয়ার্ক মেইনটেনেন্স, প্যালিও সিসমোলজি, আর্থ কোয়েক হ্যাজার্ড এনালাইসিস,মাল্টিচ্যানেল সিসমেটিক ডাটা প্রসেসিং বিশেষজ্ঞ।
ড. হুমায়ুন ১৯৮৬ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তার অসংখ্য গবেষণা(৫০টিরও অধিক)জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জিও সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ভূতত্ত্ব বিষয়ক অজস্র আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কর্মশালা পরিচালনা করেছেন ড. হুমায়ুন। তিনি পেট্রোবাংলার সহকারি জিওলজিস্ট ও জাতীয় জাদুঘরের রিসার্চ অফিসার ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান, শহীদুল্লাহ হলের প্রভোস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর ও ভূতত্ত্ব বিভাগের ডেলটা স্টাডি সেন্টারের পরিচালক ছিলেন।
তিনি জিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ বাংলাদেশ ,ন্যাশনাল ওসিনোগ্রাফিক এবং মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের জীবন সদস্য। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর দিয়ে অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স, বাংলাদেশ সোসাইটি অব জিও ইনফরমেটিকস, ইনকর্পোরেটেড রিসার্চ ইনস্টিটিউশন ফর সিসমোলজি ও ইউনিভার্সিটি নাভাস্টার কনসোর্টিয়াম আমেরিকার এফিলেটেড সদস্য। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।