সর্বশেষ সংবাদ
Own Post
প্রকাশিত: 05:56:31 pm, 2022-04-12 | দেখা হয়েছে: 2 বার।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, এবার রমজানের মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হবে। তাই কোনো খাবার দোকান খোলা থাকবে না। রমজান চলমান থাকায় এবার ২টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। দুপুর ১টার পর কাউকে এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রমনা বটমূল ও এর আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ গেটে তল্লাশি করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ এলাকা নজরদারিতে থাকবে বলেও জানান শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাঙালির প্রাণের উৎসব, বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় বর্ষবরণ আয়োজন করা হয়েছে। সীমিত আকারে এবার আয়োজন হবে।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্ষবরণে অন্যান্য বছর থেকে এবার একটু ভিন্নতা থাকবে। এবার রমজানের কারণে পান্তা ভাত ও মেলায় খাবারের এ আয়োজন থাকছে না। অনুষ্ঠানটি সীমিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে মানুষ এখান থেকে বের হয়ে খুব সহজে বাড়ি ফিরে ইফতার করতে পারেন।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট থাকবে। যেখানে প্রত্যেকটি মানুষকে চেকের ভেতর দিয়ে এ এলাকায় প্রবেশ করতে হবে। এ এলাকায় সব যানবাহন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন থাকবে। আজ ও আগামীকাল পর্যন্ত পুরো এলাকা সার্চ করা হবে। পাশাপাশি পুরো চত্বর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিভিন্ন স্থানে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। পুরো এলাকাটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত, ডগ স্কয়াটের পাশাপাশি রমনার লেকে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মোতায়েন থাকবে।
ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে অনেক মানুষ একত্রিত হয় সেখানে নারীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হন। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আসা আমাদের মায়েরা, বোনেরা ও সন্তানরা ইভটিজিং ও খারাপ আচারণের শিকার হন। সেটি চিহ্নিত করার জন্য আমাদের সাদা পোশাকে উল্লেখযোগ্য সদস্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবে।
‘এ এলাকায় শিশুদের না আনার অনুরোধ করছি, কারণ এ এলাকায় খাবারের কোনো দোকান খোলা থাকবে না। মুখোশ পরে আসা যাবে না। উচ্চ শব্দ তৈরি করে এমন বাদ্যযন্ত্র আনা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, বেলা ১১টার মধ্যে ছায়ানটের আয়োজন শেষ করতে হবে। আর দুপুর ২টার মধ্যে রমনা এলাকায় মেলা গুটিয়ে ফেলতে হবে। দুপুর ১টার পরে প্রবেশের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পুরো এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।