Image Not Found!
ঢাকা   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ

  ফ্যাসিস্ট জালিম সরকারের দোসররা এদেশে রয়ে গেছে- মামুনুর রশীদ (108)        নবগঠিত নেতৃত্বে বিএনপির উজ্জীবিত অগ্রযাত্রা (108)        ফুলবাড়ীয়ায় সাপ্তাহিক ফুলখড়ির ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন (108)        ফুলবাড়ীয়ায় যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত (108)        গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজন অব্যাহতি (2)         জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝেছি,বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলনের প্রয়োজন নেই (2)        ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায় নিয়ে জামায়াতের রিভিউ আবেদন, ২৪ অক্টোবর শুনানি (5)        ময়মনসিংহে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যু (2)        স্বর্ণের দাম বাড়ছে, এক বছরে বেড়েছে ৩৫% (2)        ফুলবাড়ীয়ায় ক্রমবর্ধমান যানজট: দ্রুত সমাধানের আশ্বাস" (2)      
১৯৭১ সালের পর থেকে কেবল গত দুই বছরই বন্ধ ছিল পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলের অনুষ্ঠান। তাই এবার রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখের উৎসবে এসে আনন্দিত সাধারণ মানুষ।

প্রাণ ফিরেছে রমনার বটমূলে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ ছিল বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। ১৯৭১ সালের পর থেকে কেবল গত দুই বছরই বন্ধ ছিল পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলের অনুষ্ঠান। তাই এবার রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখের উৎসবে এসে আনন্দিত সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রমনা বটমূলে আসা মানুষের মাঝে খুশির আমেজ দেখা যায়।

আজ শুরুতে ভোরের বিভিন্ন রাগের ওপর বেহালা, সেতার, বাঁশি ও এসরাজসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বরণের ধ্বনি দেওয়া হয়। যন্ত্রবাদনের পরপরই পরিবেশন করা হয়েছে সম্মিলিত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত ‘মন, জাগো, মঙ্গল লোকে’।

“রমনার বটমূলে কথা হবে প্রাণ খুলে
জানিয়ে দিলাম আমি তোমাকে
এসো বাঙলির সাজে হাতে যেনো চুড়ি বাজে
খোঁপায় যেনো বেলীফুল থাকে
দেখা হবেরে হবে, দেখা হবেরে হবে
দেখা হবেই হবে পহেলা বৈশাখে।”

‘নব আনন্দে জাগো’ প্রতিপাদ্য’কে সামনে রেখে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বটমূলে রাঙা গালাপ ও বৈশাখী সংগীতানুষ্ঠান মাধ্যমে রমনার বটমূলে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণ। তা শেষ হয় সকাল সাড়ে ৮টায় গিয়ে। প্রতি বছর ১২৫ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করলেও স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে এবার ৮৫ জন শিল্পী অংশ নেয়।

আয়োজনে মোট ৩৭টি গান-কবিতায় নববর্ষকে বরণ করা হবে। প্রতিপাদ্যের ওপর ভিত্তি করে একক ও সম্মিলিত গান এবং অন্যান্য গান ও কবিতা সাজানো ছিল এবারে ছায়ানটের বর্ষবরণের পুরো অনুষ্ঠান।

দর্শনার্থীদের জন্য ছিল জরুরি চিকিৎসাসেবা। নারী, বয়স্ক ও শিশুদের জন্য রয়েছে বিশ্রামাগার। কেউ হারিয়ে গেলে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ সেবা। তবে রমজান মাস হওয়ায় এবার ছিল না কোন খাবারের দোকান। এর আগে এক সংবাদ সম্মেলন রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করে, সকলকে নিয়ে নব আনন্দে জেগে ওঠার আহ্বান জানান ছায়ানট।

বর্ষবরণ উৎসব ঘিরে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল চোখে পড়ার মত। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে তাই রমনাসহ পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছিল।

দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ।