সর্বশেষ সংবাদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: 11:39:06 am, 2024-10-08 | দেখা হয়েছে: 490 বার।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বর্তমানে একটি গুরুতর ইস্যুতে আলোড়িত হয়েছে। কলেজের প্রভাষক মাসুমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করেছেন এবং আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে হাতে লাঠি-সুঁটা নিয়ে মহড়া দিয়েছেন। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই শিক্ষকের কঠোর বিচার দাবি করেছেন এবং তাকে অবিলম্বে অত্র কলেজ থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।
ছাত্রদের পক্ষ থেকে একটি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এ সময় প্রভাষক মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে যে, তিনি ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। শিক্ষার্থীদের দাবি, মাসুম এবং তার সহযোগীরা লাঠি-সুঁটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতি ভীতি প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে নির্যাতন করার চেষ্টা করেন।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, "আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে এসেছিলাম, কিন্তু আমাদের শিক্ষক মাসুম স্যার নিজেই আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং আমাদের ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করতে চান। শিক্ষকের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ আশা করিনি।"
অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, "একজন শিক্ষকের কাজ ছাত্রদের সঠিক পথ দেখানো, কিন্তু মাসুম স্যার আমাদের ওপর স্বৈরাচারদের নিয়ে আক্রমণ করেন। আমরা তার বিচার চাই এবং অবিলম্বে তাকে বহিষ্কার করার দাবি জানাই।"
শিক্ষকরা এই ঘটনায় শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, "শিক্ষক সমাজে এ ধরনের আচরণ একদমই গ্রহণযোগ্য নয়। মাসুমের মতো একজন ব্যক্তির কলেজে থাকার অধিকার নেই। তার আচরণ শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করেছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা তার বিচারের দাবি জানাচ্ছি এবং কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলছি।"
ফুলবাড়ীয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক মাসুমের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ শিক্ষার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একটাই দাবি—অবিলম্বে এই শিক্ষকের বিচার ও বহিষ্কার। কলেজ প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছে শিক্ষার্থীরা, যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুশৃঙ্খল পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা যায় এবং শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।